মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে গুলি করে ৭ শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে এবং কর্মহীন হকারদের খাদ্য ও আর্থিক সহায়তার দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন। এই কর্মসূচী থেকে হত্যাকাণ্ডের শিকার শ্রমিকদের আজীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ, আহতদের সুচিকিৎসা, শ্রমিকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং বকেয়া পাওয়া পরিশোধসহ সকল ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিলের পূর্বে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল হাশেম কবীর। বক্তৃতা করেন সংগঠনের উপদেষ্টা শ্রমিকনেতা জলি তালুকদার, সহ-সভাপতি আফসার উদ্দিন ও মঞ্জুর মঈন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে আবুল হাশেম কবীর বলেন, লকডাউন ঘোষণার পূর্বে সরকার সকল কর্মহীন পরিবারে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু অদ্যবধি কর্মহীন কোনো হকার সহায়তা পায়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে হকার ও শ্রমজীবী মানুষ মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। উপরন্তু আসন্ন ঈদ সামনে রেখে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে। তিনি কর্মহীন হকারদের অবিলম্বে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের জোর দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, চলমান লকডাউন পরিস্থিতিতে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের উপর সীমাহীন জুলুম-বঞ্চনা চালানো হচ্ছে। দৈনিকভিত্তিতে রোজগার করা মানুষ কর্মহীন হয়ে অভুক্ত দিন কাটাচ্ছে। সরকার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় যে লকডাউন চাপিয়ে দিয়েছে তাতে শ্রমজীবী মানুষের ন্যূনতম খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করা হয়নি। কারখানা খোলা রাখা হলেও শ্রমিকদের যাতায়াতের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। অন্যদিকে বকেয়া পাওনা ও ইফতারের বিরতি দাবি করায় নির্বিচারে গুলি করে শ্রমিক হত্যা করা হয়েছে। রাস্তায় অসহায় রিকশা শ্রমিকদের নির্যাতন চালাচ্ছে পুলিশ। এই অবস্থায় শ্রমিক-কৃষক-জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।
সমাবেশে বক্তারা বর্তমানে চরম সংকটে থাকা নিরন্ন হকারসহ শ্রমজীবীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সমাজের অবস্থা সম্পন্ন মানুষদের প্রতি আহ্বান জানান।